ঢাকা , শনিবার, ০১ নভেম্বর ২০২৫ , ১৭ কার্তিক ১৪৩২ বঙ্গাব্দ
সংবাদ শিরোনাম :
​নিয়ামতপুরে মাছ ধরতে গিয়ে প্রাণ গেল কৃষকের রাণীশংকৈলে জাকের পার্টি ছাত্রফ্রন্টের উদ্যোগে সাংগঠনিক মতবিনিময় সভা পত্নীতলায় সন্ত্রাসী হামলার বিচারের দাবিতে বিএনপি’র মানববন্ধন রেলসেতুর নিচ থেকে নারীর লাশ উদ্ধার নিয়ামতপৃরে বৃষ্টিতে আমন ধানের ক্ষতি, শঙ্কায় কৃষক মান্দায় হঠাৎ বৃষ্টিতে আমনসহ সবজির ব্যপক ক্ষতি শুধু নিপীড়িত মানুষের জন্য নয়, সমবায় সবার জন্য, বিভাগীয় কমিশনার সড়ক দুর্ঘটনা প্রতিরোধে মাদ্রাসা শিক্ষার্থীদের সচেতনতামূলক প্রশিক্ষণ কর্মশালা অনুষ্ঠিত রাণীশংকৈলে জাতীয় সমবায় দিবস পালিত শেষ হলো আন্তর্জাতিক পর্যটন মেলা তানোরে প্রতিপক্ষকে ফাঁসিয়ে বসে আনতে পুকুরে মাছ চুরির নাটক তানোরে কার্তিকের কান্নায় কৃষকের স্বপ্ন ভঙ্গ নরসিংদীর রায়পুরায় জমি নিয়ে বিরোধ, চাচার হাতে দুই ভাই খুন গণমাধ্যমের স্বাধীনতা ও সাংবাদিক সুরক্ষায় কার্যকর ব্যবস্হা নেওয়ার দাবি আরইউজের প্রেমিকার সঙ্গে দেখা করতে গিয়ে মারধরের শিকার কিশোরের মৃত্যু রেললাইনে হাঁটু পানি, ২ ঘণ্টা বিলম্বে ছেড়েছে বনলতা এক্সপ্রেস মহানগর বিএনপি’র  সভাপতি মামুন, সাধারণ সম্পাদক রিটন ও  সাংগঠনিক সম্পাদক মিলু চরের ত্রাস কাকনবাহীনি’র বিচার দাবিতে বাঘায় মানববন্ধন জমির ভাগ নিতে বাংলাদেশি এনআইডি বানালেন ভারতীয় নাগরিক সাগর-রুনি হত্যার বিচার ও নবম ওয়েজ বোর্ড বাস্তবায়নের দাবি

ব্রহ্মপুত্রে বিশ্বের বৃহত্তম নদীবাঁধ তৈরির কাজ শুরু করল চীন

  • আপলোড সময় : ২০-০৭-২০২৫ ০৩:৩৩:১৭ অপরাহ্ন
  • আপডেট সময় : ২০-০৭-২০২৫ ০৩:৩৩:১৭ অপরাহ্ন
ব্রহ্মপুত্রে বিশ্বের বৃহত্তম নদীবাঁধ তৈরির কাজ শুরু করল চীন ছবি: সংগৃহীত
যেখানে ইয়ারলুং সভ্যতা প্রথম তিব্বতীয় সাম্রাজ্য প্রতিষ্ঠা করেছিল, হিমালয়ের পাদদেশের সেই স্থানে বিশ্বের সর্ববৃহৎ জলবিদ্যুৎ বাঁধ তৈরির কাজ শুরু করেছে এশিয়ার অন্যতম পরাশক্তি চীন। শনিবার তিব্বতের স্বায়ত্তশাসিত অঞ্চলের ইয়ারলুং জাংবো নদীতে ৬০ গিগাওয়াট ক্ষমতাসম্পন্ন জলবিদ্যুৎ বাঁধ নির্মাণ কাজের উদ্বোধন করা হয়েছে। 

ইয়ারলুং জাংবো নদীটি ভারত ও বাংলাদেশে ব্রহ্মপুত্র নদ নামে পরিচিত; দুই দেশের কোটি কোটি মানুষের জীবন-জীবিকা এই নদের ওপর নির্ভরশীল।

চীনের রাষ্ট্রায়ত্ত সংবাদমাধ্যমের খবরে বলা হয়েছে, তিব্বত ও ভারতের মধ্য দিয়ে প্রবাহিত নদীতে ইয়ারলুং জাংবো নদীতে মেগা-বাঁধের নির্মাণ কাজের উদ্বোধন করেছে চীন। মেগা-বাঁধের এই উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে দেশটির প্রধানমন্ত্রী লি কিয়াং উপস্থিত ছিলেন।

২০২০ সালের নভেম্বরে ইয়ারলুং জাংবো নদীতে ওই জলবিদ্যুৎ বাঁধ নির্মাণের পরিকল্পনার কথা জানায় চীন। এরপর গত বছরের ডিসেম্বরে তিব্বতের ইয়ারলুং জাংবো নদীতে এই প্রকল্পের অনুমোদন দেয় বেইজিং।

২০৬০ সালের মধ্যে কার্বন নিঃসরণ শূন্যের কোটায় নামিয়ে আনার লক্ষ্যে তিব্বতে এই জলবিদ্যুৎ প্রকল্পের নির্মাণকাজের গতি দ্বিগুণ করেছে বেইজিং। যদিও পরিবেশবাদী এবং তিব্বতের মানবাধিকার সংগঠনগুলো ইয়ারলুং জাংবো নদীর উৎসমুখে এই বাঁধ নির্মাণ পরিকল্পনার সমালোচনা করেছে। 

তিব্বতের দক্ষিণ-পূর্বাঞ্চলীয় নিংচি এলাকায় এই বাঁধের উদ্বোধনী অনুষ্ঠানের পর চীনের রাষ্ট্রীয় বার্তা সংস্থা সিনহুয়ার প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, তিব্বতের স্থানীয় চাহিদা মেটানোর পাশাপাশি উৎপাদিত বিদ্যুৎ অন্যান্য অঞ্চলেও সরবরাহ করা হবে।

ইয়ারলুং জাংবো নদীতে এই বাঁধের নির্মাণ কাজ শেষ হলে তা চীনের মধ্যাঞ্চলের ইয়াংসি নদীতে নির্মিত রেকর্ড গড়া ‘থ্রি গর্জেস বাঁধকেও’ ছাড়িয়ে যেতে পারে। এর ফলে বাংলাদেশ ও ভারতের ভাটি অঞ্চলের প্রবাহে কোটি কোটি মানুষের ওপর ভয়াবহ প্রভাব পড়তে পারে।

চীনা বার্তা সংস্থা সিনহুয়া বলেছে, এই প্রকল্পে পাঁচটি জলবিদ্যুৎ কেন্দ্র নির্মাণ পরিকল্পনা অন্তর্ভুক্ত করা হয়েছে। যার মোট ব্যয় প্রায় ১.২ ট্রিলিয়ন ইউয়ান (১৬৭.১ বিলিয়ন মার্কিন ডলার) হতে পারে।

চলতি বছরের জানুয়ারিতে ভারত বলেছিল, তিব্বতের এই প্রকল্প নিয়ে চীনের কাছে নিজেদের উদ্বেগের কথা জানিয়েছে নয়াদিল্লি। ভারত বলেছে, তারা তিব্বতে চীনা বাঁধ নির্মাণের বিষয়টি পর্যবেক্ষণ করবে এবং নিজেদের স্বার্থ রক্ষায় প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেবে।

ওই সময় ভারতের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের এক বিবৃতিতে বলা হয়েছিল, উজানে কার্যক্রমের মাধ্যমে ব্রহ্মপুত্রের নিম্নপ্রবাহের দেশগুলোর স্বার্থ যেন ক্ষতিগ্রস্ত না হয়, তা চীনকে নিশ্চিত করতে বলা হয়েছে।

পরে ডিসেম্বরে চীনের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় জানায়, এই প্রকল্পের কারণে নিম্নপ্রবাহে কোনও ‘নেতিবাচক প্রভাব’ পড়বে না এবং চীন নদীর নিম্নপ্রবাহের দেশগুলোর সঙ্গে যোগাযোগ বজায় রাখবে।

নিম্নপ্রবাহের দেশগুলোর উদ্বেগের পাশাপাশি পরিবেশবিদরাও চীনের এই বাঁধ নির্মাণ নিয়ে সতর্ক করে দিয়েছেন। পরিবেশবিদরা বলেছেন, এমন মেগা প্রকল্প পরিবেশগত দিক থেকে সংবেদনশীল তিব্বত মালভূমিতে অপূরণীয় ক্ষতি করতে পারে।

থ্রি জর্জ প্রকল্প বাস্তবায়নের সময় চীন ১৪ লাখের বেশি মানুষকে জোরপূর্বক স্থানান্তরিত করেছিল। ইয়াংজি নদীর তীরবর্তী এলাকার চেয়ে ইয়ারলুং জাংবো নদী এলাকা কম ঘনবসতিপূর্ণ।

এর আগে, চীনের রাষ্ট্রীয় মালিকাধীন সংবাদমাধ্যম গ্লোবাল টাইমসের প্রতিবেদনে বলা হয়, ইয়ারলুং জাংবো বাঁধ তিব্বতের মিডগ কাউন্টিতে নির্মাণ করা হবে; যে শহরের জনসংখ্যা ১৪ হাজার। এই বাঁধ নির্মাণে কতসংখ্যক মানুষ স্থানান্তরিত হতে পারেন; সেবিষয়ে কোনও জবাব দেয়নি বাঁধটির নির্মাণকারী প্রতিষ্ঠান পাওয়ার কনস্ট্রাকশন করপোরেশন অব চায়না।

২৫ লাখ বর্গকিলোমিটার আয়তনের তিব্বত মালভূমি প্রাকৃতিক সম্পদের এক আধার এবং বেশ কয়েকটি দেশের সঙ্গে সীমান্ত রয়েছে। হিমবাহ গলে এবং পাহাড়ের ঝর্ণা বয়ে নেমে আসা মিঠাপানির প্রবাহ ভারত, চীন ও ভূটানের প্রায় ১৮০ কোটি মানুষকে পানীয় জলের জোগান দেয় ইয়ারলুং জাংবো বা ব্রহ্মপুত্র। সূত্র: এএফপি।

নিউজটি আপডেট করেছেন : Rajshahir Somoy

কমেন্ট বক্স
শুধু নিপীড়িত মানুষের জন্য নয়, সমবায় সবার জন্য, বিভাগীয় কমিশনার

শুধু নিপীড়িত মানুষের জন্য নয়, সমবায় সবার জন্য, বিভাগীয় কমিশনার